টাইটেল: শহীদ মিনার,স্মৃতির মিনার ।
শহীদ মিনার ঠিক কতো তারিখ স্থাপিত হয়েছিলো, তা নিয়ে অনেকের ভিতরেই মতবিরোধ থাকতে পারে। তবে আজকের আলোচনার পরে আপনার এই বিষয় নিয়ে ভিন্নমত থাকবে না আশা করি। তাই পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইলো।
২২শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা শহরে ব্যাপক হরতাল ও যানবাহন বন্ধই শুধু নয়, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ বৈঠক ও সরকারের প্রতি নিন্দাসূচক বিবৃতি এবং রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবির প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন ছিল দিনটির বৈশিষ্ট্য। ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানীর অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। জনাব হাশিমের বিবৃতির তাৎপর্যপূর্ণ দিক ছিল, "আন্দোলনের উপর সাম্প্রদায়িক ছাপ দেওয়ার জঘন্য চেষ্টা" র নিন্দা। আর ভাসানী চেয়েছেন "সরকারের প্রকাশ্য বিচার"। ২২শে ফেব্রুয়ারী শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও আন্দোলনের তীব্রতায় চিহ্নিত হয়ে আছে।
২৩শে ফেব্রুয়ারীও অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ঢাকায় সেদিনও পূর্ণ হরতাল। যানবাহন, দোকানপাট সব বন্ধ। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে লোকজন দলে দলে রাস্তায় চলাচল করতে থাকে। মিছিলে স্লোগানে ঢাকা শহর সেদিনও তার উত্তেজনার বিন্দুটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
বাহান্নের ভাষা আন্দোলন জাতীয় ক্ষেত্রে যদি কোনো মহৎ অবদান রেখে থাকে, তবে তা সম্ভব হয়েছে দুটো কারণে।যেগুলো হলো-
● একুশে ফেব্রুয়ারী তারিখে ১৪৪ ধারা ভাঙার সঠিক সিদ্ধান্ত। এবং
●এই রক্তঝরা আন্দোলনের সাহসী স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মেডিকেল ব্যারাকের ছাত্রদের শহীদ মিনার নির্মাণ।
এই শহীদ মিনার শুধু শহীদের স্মৃতিকেই অমরত্ব দেয়নি, প্রতিষ্ঠিত করেছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য এক ঐতিহ্যবাহী উদ্দীপনার উৎস।
শহীদ মিনার ঠিক কোন তারিখে তৈরী হয়েছিল, তা নিয়ে একুশের লিখিয়েরা যে যার খুশিমতো লিখেছেন। এমন কি "কে.জি মোস্তফা"র মতো ব্যক্তিও। কেও ২২শে, কেও ২৩শে, কেও ২৪শে, যেমন যার ইচ্ছা লিখেছেন। এমন কি ব্যারাকের কোনো কোনো ছাত্রও বিস্মৃতির জন্য এ ধরণের ভুল করেছেন। সঠিক দিন আমার হিসাবে ২৩শে ফেব্রুয়ারী। শেষ হয় ২৩ তারিখ রাত শেষে, ২৪ তারিখ অতি ভোরে। সারা রাতের শ্রম ক্লান্ত ছাত্ররা সকালেই যার যার রুমে ঘুমাতে চলে যায়। কাগজে খবর পাঠানো হয় ঐ দিনই অর্থাৎ ২৪শে ফেব্রুয়ারী। অবশ্য তার আগেই পত্রিকার লোকজন এসে মিনার দেখে যায়।
বলা যায়, শহীদ মিনার মেডিকেল ব্যারাকের রাজনীতি-সচেতন ও সক্রিয় ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত, আকস্মিক চিন্তার ও যৌথ শ্রমের ফসল।
কেমন লাগলো আজকের আলোচনা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি আপনার সব বিভ্রান্তি দূর হয়ে গিয়েছে। ভালো লাগলে লাইক করুন এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে জানুন, অন্যকে জানতে সহযোগিতা করুন। কথাকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন। ধন্যবাদ♡
রিভিউয়ার : Nit Mahim
ছবি : পিন্টারেস্ট থেকে কালেক্টেড।
My Personal Accounts :
Facebook :
https://www.facebook.com/nit.mahim.5
Instagram :
https://www.instagram.com/p/CBHoB9MDzWi/?igshid=17qfsa545gq2q
Twitter :
https://twitter.com/Carry_ka_fan/status/1257646548323667969?s=20
Personal YouTube Channel :
https://www.youtube.com/channel/UCVJTRUlWGCohYLeqnxKK8aA
My Personal Kotha Account :
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bjz5jf4
ইতিহাস সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য জানতে বা জানাতে ইনস্টাগ্রাম অথবা টুইটারে যোগাযোগ করতে পারেন। লিঙ্ক উপরে দেওয়া আছে। ইতিহাসের কথা থাকবে আপনার পাশে।
ধন্যবাদন্তে
Nit Mahim