Download Kotha App
ইতিহাসের কথা
2020-08-12T03:49:35.198Z
টাইটেল : ওরাও প্রস্তুত। একুশে ফেব্রুয়ারী ; পর্ব - ৩ || আপনি চাইলে পূর্বের পর্বটি এই লিংকে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন। লিংক : https://link.kotha.app/app/feed/preview/5f30c5e8c5e48a0012a96071 ■ আমতলার সভা শেষে এবার বেরিয়ে যাবার পালা।পালা প্রাঙ্গনে সাজ সাজ রব। কে কার আগে বেরুবে সেই চিন্তা। শ্লোগানে শ্লোগানে আমপাতার ঠান্ডা মুখেও উত্তাপ। বাইরে সুসজ্জিত পুলিশ অবস্থা সামলাতে পারছে না। এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া সবাইকে ধরতে না পারলেও অনেককেই তুলে নেয়া হচ্ছিলো অপেক্ষমান ট্রাকে। এতক্ষন পর সত্যি শুরু হয়ে গেলো বিশৃঙ্খলা। একসঙ্গে অনেকে বেরুতে চাইছে, বেরিয়ে পড়ছে। ওরাও তাল সামলাতে না পেরে শুরু করেছে চিরাচরিত পুলিশি ব্যবস্থা লাঠিচার্জ। সেই সঙ্গে কাঁদানে গ্যাস। এদিক থেকে স্কুলের ছোট ছোট ছেলেরা পাল্টা জবাব দিচ্ছে একপাশে জমা করে রাখা খোয়ার স্তুপ থেকে ইট-পাটকেল বৃষ্টির সাহায্যে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটছে। আরো দ্রুত। কলাভবন প্রাঙ্গন, আমতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। এতটা প্রতিরোধ আশা করেনি শান্তি রক্ষকের দল। তাই গ্যাসের পর গ্যাস শেল নামছে। চলছে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মারার আর লাঠিচার্জের ধুমধাড়াক্কা। রেগেমেগে ক্রমাগত টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে ছুঁড়ে ওরা বাতাস বিষাক্ত করে ফেললো। ছেলেরা ছুতে নামছে বেলতলার ডোবায় রুমাল ভিজিয়ে নিতে। কেউ ছুটছে দক্ষিণ দিকে রেল লাইন ধরে। সামনে রাস্তার উপর থেকে অনেকেই সামনে এগুতে না পেরে তারের বেড়া ডিঙিয়ে একেবারে খেলার মাঠে। এরই মধ্যে বাতিব্যস্ত পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে ছোট্ট একটি দল মিছিলের মতই ছুটে চলেছে, বলা যায় ধেয়ে চলছে মেডিকেল কলেজ গেটের দিকে। মাথা ঠান্ডা কয়েকজন মধুর ক্যান্টিনের পাশ দিয়ে ভাঙা পাঁচিল ডিঙিয়ে একেবারে সটান হাসপাতাল প্রাঙ্গনে। রিভিউতে : মাহিম। ছবি : পিন্টারেস্ট থেকে কালেক্টেড। কেমন লাগলো আশা করি কমেন্টে জানাবেন। ৭ পর্বের "একুশে ফেব্রুয়ারী" আলোচনাটি জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। পার্সোনাল কথা একাউন্ট : https://link.kotha.app/app/user/preview/34bjz5jf4 ধন্যবাদন্তে Nit Mahim♡
0 comments.