টাইটেল : এম এল এ নাজেহাল।
একুশে ফেব্রুয়ারী || পর্ব - ৫ ; আপনি চাইলে পূর্ববর্তী পোস্টটি এই লিংক এ ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন।
লিংক :
https://link.kotha.app/app/feed/preview/5f3605f133d50e0012c5b032
ব্যবস্থাপক সভার বাজেট অধিবেশনের বেশ আগে থেকেই পুলিশের সাথে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ আবার নতুন করে শুরু হয়ে গেছে। বলা যায়, এটা খণ্ডযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়। এবার রণস্থল মেডিকেল ব্যারাক ও সামনের রাস্তা।
ব্যারাকের প্রধান গেটের সামনে একটি পাল্লা হা করে খোলা। এই মুক্ত পথে ঢেউয়ের মতো ছাত্র-জনতা একবার বেরিয়ে যাচ্ছে, পরক্ষণেই পুলিশের তাড়া ও লাঠির ঘায়ে ফিরে আসছে। কয়েকটা টিয়ারগ্যাসের শেল হাসপাতাল প্রাঙ্গনে পড়ায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ অভিযোগ জানায় পুলিশের বিরুদ্ধে।
এরই মধ্যে মেডিকেল কলেজের কিছু তরুণ ছাত্র কয়েকজন এম এল এ কে ধরে নিয়ে আসে যাদের মধ্যে একজন মানিকগঞ্জের আওলাদ হোসেন ও রাজা মিয়া।
তরুণ ছাত্রদের দাবি পূরণের কথাবার্তার ফাঁকে রাজা মিয়া এক সময় সরে পড়েন। তাই প্রৌঢ় আওলাদ হোসেনকে নিয়ে আসা হয় ব্যারাকের দক্ষিণ প্রান্তে ছয় নম্বর শেডের সামনে। ধর্মগ্রন্থের শপথ নিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে রাজি হবার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কাঁপতে কাঁপতে চলে যান আওলাদ হোসেন।
অন্য আরেক গ্রুপ ছাত্রমন্ত্রী হাসান আলীর গাড়ি আটক করে, পেছন থেকে ছোট ছোট ছেলে ঢিল ছুড়ে গাড়ির কাঁচ ভাঙে। যাত্রী সামান্য আহত হলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এমনি আরো কয়েকজন এম এল এ র পথরোধ করা হয়, দু'একজনকে ব্যারাকের ভেতরে নিয়ে আসা হয়, এবং এর মধ্যে জনা দুই তিন কংগ্রেস সদস্য ও ছিলেন। এলিস কমিশনের তদন্ত রিপোর্টে কিন্তু অন্যায়ভাবে সব দোষই ছাত্রদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়।
কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো লাগলে লাইক এবং শেয়ার করুন। "একুশে ফেব্রুয়ারী" এর ৭ পর্বের আলোচনা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
রিভিউয়ার : Nit Mahim
ছবি : collected from pinterest.
ইতিহাস সম্পর্কিত যেকোনো কিছু জানতে বা জানাতে নিম্নোক্ত সোশ্যাল লিংকে যোগাযোগ করতে পারেন।
Pinterest : https://www.pinterest.com/its_me_nitmahim/
Telegram channel : t.me/itihasherkotha
Telegram Group : t.me/itihasherkothagroup
Personal kotha Account :
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bjz5jf4
ধন্যবাদন্তে
Nit Mahim♡