টাইটেল : ব্যারাকে গুলিবর্ষণ ; অভাবিত ঘটনা।
একুশে ফেব্রুয়ারী পর্ব - ৭ (শেষ পর্ব) || আপনি চাইলে পূর্বের পোস্টটি এই লিংকে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন।
লিংক : https://link.kotha.app/app/feed/preview/5f40dde344ccff0013131ce3
বেলা প্রায় সাড়ে তিনটার মধ্যে টিয়ারগ্যাস হাঁকানোর ভিতর দিয়ে ক্ষিপ্ত পুলিশ ছাত্রদের শাহেস্তা করতে ছুটে এলো। উপরতলার হুকুম তামিল করতে ঢুকে পড়লো ব্যারাকের গেট দিয়ে ভেতরকার রাস্তায়। তারপর কয়েক রাউন্ড গুলি ব্যারাকের ভেতর দিক, আর কয়েক রাউন্ড খেলার মাঠের জনতাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হলো।
এতক্ষন ধরে টিয়ারগাসের শেল ফাটছে ফটাস ফটাস শব্দে। অতি দুঃসাহসী দুএকজন ব্যারাকবাসী শেল তুলে ফের ছুঁড়ে মেরেছে পুলিশ এর দিকে। ছাত্ররা ভাবতে পারেনি, পুলিশ গুলি চালাতে পারে। তাই গুলির শব্দ শুনেও তারা ভেবেছে টিয়ারশেল ফাটছে।
কিন্তু ওসব শেল ফাটা বা ফাঁকা আওয়াজ নয় তা বোঝা গেলো চোখের সামনে একজনকে পড়ে যেতে দেখে, তাকে রক্তাক্ত হয়ে উঠতে দেখে। এরকম আরো দেখা গেলো প্রাঙ্গনের ঘাসে ও শেডের বারান্দায়। ছাত্ররা তখন শেডের ফাঁকে ফাঁকে বা গাছের আড়ালে দাঁড়ানো।
দুপুর গড়িয়ে বেলা তখন কয়টা? এ প্রশ্নের জবাব সঠিকভাবে দেওয়া যায় না, কেউ দিতে পারেনি এ পর্যন্ত। এমন উত্তেজক লড়াইয়ের ময়দানে, এমন উত্তেজক লড়াইয়ের ময়দানে, এমন হৈ-হৈ ছুটোছুটির মদদ কেউ ঘড়ির দিকে তাকায় না। তবে সময়ের হিসাব নিয়ে পরে ঠান্ডা মাথায় বিচার-বিবেচনা করে দেখা গেছে, গুলিবর্ষণের সময় সম্ভবত : ঘড়ির তিনটার ঘরের কিছুটা আগে পেছনে।
একুশে ফেব্রুয়ারী পুলিশ এর গুলিবর্ষণ এবং ব্যারাক প্রাঙ্গনের বিস্ফোরক মুহূর্তটি কেন জানি হঠাৎ করেই আমাদ টেনে নিয়ে যায় এই মেডিকেল ব্যারাকের রাজনৈতিক অতীতে। সেই রাজনৈতিক অতীত বিচারে স্বভাবতই মনে হয় ব্যারাক প্রাঙ্গনে এই রক্তঝরা বিস্ফোরক পরিণতি অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ যেন অতীত রাজনীতিরই এক পরিণত রূপ যা সময়োচিত বাস্তবতার মূর্ত হয়ে উঠেছে।
কেমন লাগলো আজকের আলোচনা তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারী এর ৭ পর্বের কয়টি পড়েছেন এবং সাতটি পর্ব কেমন ছিল তাও জানাবেন। আমরা এই সাত পর্বের মাধ্যমে ২১শে ফেব্রুয়ারী দিনটিতে ঠিক কি হয়েছিল তাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
Reviewer : Nit Mahim
Photo : Collected from Google
Personal Kotha Account :
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bjz5jf4
ধন্যবাদন্তে
Nit Mahim♡